রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা জেলা মটর মালিক সমিতির আসন্ন ২০১৯-২০২২ সালের নির্বাচনে বু-বুকের মাধ্যমে ভোটার করার দাবি জানিয়েছেন সদস্য হতে বঞ্চিত হওয়া মটর মালিকরা। এর অন্যথা হলে জেলা মটর মালিক সমিতির কার্যালয় বন্ধ করে দেয়াসহ পরিবহন সেক্টরে নানা অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা আশংকা করছেন।
গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সদস্য হতে বঞ্চিত হওয়া মটর মালিকরা এ আশংকা প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, বিআরটিএ প্রদত্ত মালিকানা সনদ (বু বুক) ধারী ৪০/৫০ জন মটর মালিক সদস্য হওয়ার জন্য জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে আবেদন করেন। কিন্তু স্মার্ট কার্ড ব্যতীত তাদের সদস্য করা হবে না বলে জানানো হয়। অথচ সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বৈধ বু বুকধারী মালিকরা ডি ফর্মের মাধ্যমে সদস্য হতে পারবেন। বর্তমান সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বু বুককে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করায় স্মার্ট কার্ড প্রদান করা সরকারের পক্ষে সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এ জন্য বু বুক হিসেবে প্রথমে বাস মালিকদের বাস চালানোর জন্য একটি একনলেজমেন্ট স্পি প্রদান করা হয়। এছাড়া আদালত একনলেজমেন্ট স্পিধারী বৈধ বাস মালিকদেরকে বৈধ বু বুকধারী মালিক হিসেবে রায় দিয়েছেন। কিন্তু আদালতের রায় ও সমিতির গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে বর্তমান নেতৃবৃন্দ মনগড়াভাবে আসন্ন নির্বাচনের লক্ষ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভোটার নিয়োগ করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন করলেও ২০১৬ সালের চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় ৬২ জন ভোটার ছিল। সেই সময়ও স্মার্ট কার্ডের দোহাই দিয়ে প্রায় ২২ জন বৈধ মালিককে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আব্দুল মালেক নাপু এর স্ত্রী ও ভাইকে একনলেজমেন্ট স্পি দিয়ে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই একনলেজমেন্ট স্পি দিয়ে অন্যদের সদস্য করতে রাজি নন তারা। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৈধ মালিকদে সমিতির সদস্য করতে পারেন। আর নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সেই সদস্য তালিকা হতে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবেন। কিন্তু বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইচ্ছেমত নিজেরাই ভোটার তালিকা তৈরী করছেন। কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই এব্যাপারে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আবু তাহের মোঃ সদরুল আমিন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ গোলাম রব্বানী, মোঃ এমরান কবীর শামীম, মোঃ সাদা মিয়া, মোঃ ইকবাল কবীর তুহিন, মোঃ মাসুদ রানা. সাজু সরকার, মোঃ আলম প্রমূখ।