বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ সাঘাটা উপজেলার বুরুঙ্গী গ্রামে প্রভাবশালী, সাবেক মেম্বার মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে কবর স্থান ফলজ, ঔষধি, বাশ ও কাঠের গাছ-পালাসহ ৫ লক্ষধিক টাকার মালামাল ধসে যাওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভুগী পরিবার।
এলাকাবাসি জানান, সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মোজাম্মেল হক স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বুরুঙ্গী গ্রামের একটি পুকুর থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে । এলাকাবাসি বাধা দিলে মোজাম্মেল হক ও তার ছেলে এনামুল হক তাদের ভয়-ভিতি দেখান । এভাবে টানা কয়েক মাস বালু উত্তোলনের ফলে পুকুরের আশে-পাশে টিটুল মিয়া, জুয়েল মিয়া, সুইচ মিয়া, আইজল ইসলাম, সেকেন্দার আলী ও রঞ্জু মিয়ার বসতি, কবরস্থান ফলজ, ঔষধি, কাঠের গাছ-পালাসহ ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। বিষয়টি নিয়ে বার বার প্রভাবশালী মোজাম্মেল হকের সাথে কথা বললে তিনি কোন প্রকার ক্ষতিপুরণ না দিয়ে ভয়ভীতি দেখান এবং বালু উত্তোলনের সরকারি অনুমতি আছে বলে ভুয়া কাগজ দেখান । বুরুঙ্গী গ্রামের রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম জানান, তার বাড়ীর পাশ থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে টানা ৩ মাস বালু উত্তোলন করা হয়েছে । বার বার বাধা দিলে মোজাম্মেল হকের ছেলে এনামুল হক নানা ভাবে হুমকি দেয়। এভাবে বালু তোলার ফলে মোর্শেদা বেগমের বাড়ীর একাংশ ডেবে গেছে । একই গ্রামের টিটুল মিয়া জানান, মোজাম্মেল হক বার বার ক্ষতি পুরন দেয়া কথা বলে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করেন। ফলে তাদের বাপ-দাদার কবস্থানসগ কয়েকলাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে । এব্যাপরে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বালু উত্তলনের ফলে কারো কোন ক্ষতি হলে ক্ষতি পুরন দেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান বালু উত্তোলনের ফলে এলাকাবাসির যে ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে । কোন সুরহা হয়নি ।