বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে গাইবান্ধার ঈদ বাজার

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে গাইবান্ধার ঈদ বাজার

স্টাফ রিপোর্টার ঃ শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে গাইবান্ধার ঈদ বাজার। জেলা শহরের প্রতিটি মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলোতে দেখা গেছে ঈদের আমেজ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাপড়ের দোকানে নারী ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে ক্রেতা বিক্রেতায় বাজার এখন সরব। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই গাইবান্ধায় মার্কেটগুলোতে কেনাবেচা জমে উঠছে। ঈদে ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে বিক্রেতারাও আগেভাগেই পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। শহরের বড় শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেড়েছে বেচা-কেনা। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বেচাকেনাও ততই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
এ বছর ছেলেদের পছন্দের তালিকায় জিন্স প্যান্ট, প্রিন্টের শার্ট, পাঞ্জাবি ও কাবলি। আর মেয়েদের পোশাকের মধ্যে সারারা-গাড়ারা এবং কাঁচাবাদাম পোশাকের চাহিদা রয়েছে। তবে ক্রেতাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাই বেশি।
শহরে তৈরি পোশাকের জন্য অভিজাত বিপণী বিতানগুলোর মধ্যে গাইবান্ধার সালিমার সুপার মার্কেট, তরফদার ম্যানশন, কাজী টাওয়ার ইসলাম প্লাজা, পৌরসভা সুপার মার্কেট, শাপলা মার্কেট আব্বাস উদ্দিন টাওয়ারসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানে জমে উঠেছে ঈদবাজার। ক্রেতাদের পছন্দের বিষয় মাথায় রেখেই নতুন মডেলের পোশাক সংগ্রহ করেছে দোকনিরা। ছেলেদের শেরওয়ানী ও পাঞ্জাবি ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা, বাচ্চাদের পোশাক ৮০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। মেয়েদের ক্ষেত্রে ভারতীয় পোশাক সারারা-গাড়ারা, লেহাঙ্গা, ডিভাডার ও পাকিস্তানী থ্রি-পিসের দাম ৫০০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকার মধ্যে।
ঈদের কেনাকাটা করতে কুপতলার মিনি বেগম বলেন, ‘তিন মেয়েই বায়না ধরেছে, এবার ঈদে তাদের কাঁচা বাদাম ড্রেস লাগবে। তাই আবদার পূরণ করতে কাঁচা বাদাম ড্রেস কিনে দিলাম।’
বোয়ালী গ্রামের তানিয়া বলেন, ‘প্রতি বছরই ঈদের আগে নানা নামে পোশাক আসে। এবার কাঁচা বাদাম নামে এসেছে। শুনতে হাস্যকর লাগলেও ভালো লাগছে পোশাকটি কিনতে পেরে।’
শহরের কামরুজ্জামান নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘বাচ্চার জন্য ড্রেস কিনতে এসেছি। ড্রেস পেয়ে বাচ্চা খুশি হয়েছে।’
গৃহবধূ শামীমা বেগম বলেন,ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন শহরে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের সঙ্গে আনছি, তাদের পছন্দ মতো পোশাক কেনার জন্য। প্রতিবছর রোজার শুরুতেই কেনাকাটা করে ফেলি। তবে এবার একটু দেরি হয়ে গেল। তবে গেল বছরের চাইতে এবার একটু বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে।’
কলেজছাত্রী তাবাসসুম বলেন, ‘মার্কেটে ঘুরছি। এখনও পোশাক পছন্দ করতে পারিনি। বাজারে দামটা বেশি। তাই নিতে পারছি না।’
সালিমার সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী রনি রহমান জানান, এ বছর আমরা অনেক খুশি। রমজানের শুরু থেকেই বেচা বিক্রি হচ্ছে। এবার ক্রেতারা এসে কাঁচা বাদাম, সারারা, জারারা পোশাক খোঁজে। এগুলোর চাহিদা ও বেচা বিক্রি বেশ ভালো।
পৌর মার্কেটের শাড়ি বিক্রেতা নবীন সরকার জানান, এ বছর পোশাক বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম যেমনই হোক কোয়ালিটি প্রোডাক্ট চান ক্রেতারা। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে গত দু’বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে, ঈদ কেনাকাটাকে ঘিরে যেন শহরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ক্রেতারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে কেনাকাটা করতে পারে, তার জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতেও পুলিশ রয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com