রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সাঘাটা উপজেলায় সোলার প্যানেল বসিয়ে ধানের আবাদ করছেন কৃষকরা। কচুয়া এবং জুমারবাড়ী ইউনিয়নে প্যানেল স্থাপন করে আমন ধানের জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার কচুয়া গ্রামে সোলার প্যানেল স্থাপন করে অগভীর নলকূপ বসিয়ে প্রায় শতাধিক কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ায় বিদ্যুৎতের চাপ কমেছে সেই সঙ্গে অতিরিক্ত বিদ্যুৎতের খরচের হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন কৃষকরা। এতে করে ওই কৃষকদের দুঃখ লাঘব হয়েছে । উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে পশ্চিম ও পূর্ব পার্শ্বে গত তিন বছর আগে দুটি সোলার প্যানেল স্থাপন করে। দুটি অগভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় সৌর বিদ্যুতের সোলার প্যানেলে সেচ কাজ করায় কৃষকের আর ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় বিশ্ব ব্যাংক ইডকল এর সহায়তায় গ্রীন হাউজিং এনার্জি লিঃ তত্বাবধানে গোবিন্দগঞ্জের নাকাইহাটে তিনটি ও সাঘাটার দুটি সহ মোট পাঁচটি সোলার প্যানেল স্থাপন করে অগভীর নলকূপ বসিয়ে সেচ কাজে ব্যবহার হচ্ছে। সোলার প্যানেল থেকে কন্ট্রোলারের মাধ্যমে ১১কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন হয়। সেখান থেকে ওয়াটার পাম্পে যায়। তারপর পানি ওঠে। সেখানে বিদ্যুতের কোন প্রয়োজন হয় না। ৩৪টি সোলার প্যানেলে ২’শ ৯৫ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। ১০ হাজার কিলোওয়াটের ১৩’শ ভোল্ট সম্পন্ন সোলার প্যানেল দুটি স্থাপিত। ২০ বছরের চুক্তিতে ৭ শতাংশ করে মোট ১৪ শতাংশ জায়গায় দুটি সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। সূর্য্যরে আলো পেলে শীতে ৬ লাখ লিটার ও গ্রীষ্মে ৮ থেকে ১০ লাখ লিটার পানি উঠানোর ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। ওই সোলার প্যানেল দুটির সুবিধাভোগী কৃষকের কাছ থেকে রোপা ইরি জমিতে পানি সেচ বাবদ প্রতি বিঘায় ১ হাজার ৮ শত টাকা এবং আমন মৌসুমে ৯শত টাকা করে ৩ কিস্তিতে আদায় করে থাকে। কৃষক নজরুল ও সাইফুল জানান, সোলার প্যানেল স্থাপন করার পর থেকে সেচ কাজের জন্য আর চিন্তা করতে হয় না। বিদ্যুৎতের লোড-সেডিং । কৃষক বাবুল মিয়া বলেন, অনেক কম খরচে আমনের ধানের জমিতে সেচ দিচ্ছি। বিঘা প্রতি মাএ ৯শত টাকা সেচ বাবদ দিতে হয়। বিদ্যুৎ হলে ২হাজার টাকা খরচ হতো। কচুয়া প্যানেলের ড্রাইভার আনারুল বলেন,এবারে ২০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। সূর্য্যরে আলো থাকলে সেচ দিতে কোনো সম্যস্যা হয়না।