বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ উত্তরের জনপদ গাইবান্ধায় প্রতি বছরেই আলু চাষ করা হয়ে থাকে। তাই চলতি মৌসুমে আগাম বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হচ্ছে গাইবান্ধা জেলা জুড়েই। অন্যন্য বছরের তুলনায় এ বছর আলুর ফলন ভালো হবে প্রত্যাশা করছেন কৃষকরা। তাই বেশি লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
গাইবান্ধা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গতবছর জেলার সাতটি উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ হাজার ৩১৪ হেক্টর। এর মধ্যে অর্জিত হয়েছিল ১১ হাজার ১৫২ হেক্টর। এবছর জেলায় আলু চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩৬ হেক্টর। ইতিমধ্যেই আগাম অর্জিত হয়েছে ৩৫০ হেক্টর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলি মাঠে বিভিন্ন জাতের আলু রোপন করছেন কৃষকরা। জাতগুলো হচ্ছে বারি সেভেন, গ্যারুনুলা, বারি ৪৬, অজেটো, বারি ৫৪ (মিউজিকা), বারি ৯০ (এলয়েট), কুমারিকা সহ বেশ কিছু জাতের আলু চাষ করছেন কৃষকরা কয়েকটি ধাপে। কেউ হালচাষ করছেন, আবার কেউ জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত। কেউ সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, বীজ আলু সংগ্রহ, পাশাপাশি রোপণও করছেন কৃষকরা।
এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে আলু যাচ্ছে পাশের জেলাগুলোসহ রাজধানী ঢাকায়। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কৃষি কাজে সহযোগিতা করছেন। ইতিমধ্যেই জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন আলু।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, আগাম আলু ইতিমধ্যেই উত্তোলন শুরু হয়েছে। আগাম এই আলু চাষ করে কৃষকরা অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে। বাজারে এখন আলু ৫৫-৭০ টাকা কেজি তরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এই আলু গুলো চাষ করে কৃষকরা অধিক আয় করছেন। এবার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি অর্জন করেও আরো অধিক পরিমাণে আবাদ হবে বলে প্রত্যাশা করছি। তার নমুনা স্বরূপ এ জেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষে যে পরিমান বীজ দরকার তার থেকে অধিক বীজ ইতি মধ্যেই বিক্রি হয়েছে, বিভিন্ন ডিলার ও বিএডিসির মাধ্যমে। আমরা আশা করছি এবছর আলুর আবাদ আরও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।