মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গত কয়েক দিনের একটানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, করতোয়া ও ঘাঘটসহ বিভিন্ন নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সেইসাথে নদী ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
এতে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা এবং সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাসহ চরাঞ্চলগুলোতে পানি উঠতে শুরু করেছে। ফলে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত ও অস্থায়ী নৌঘাটগুলো তলিয়ে গেছে। সুন্দরগঞ্জের বেলকা, তারাপুর, হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর, গাইবান্ধা সদরের কামারজানি ও মোল্ল¬ারচর, ফুলছড়ির এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর, কঞ্চিপাড়া, গজারিয়া, উড়িয়া ও ফুলছড়ি এবং সাঘাটার ভরতখালি, হলদিয়া, ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে যাওয়ায় ওইসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা বিঘিœত হচ্ছে। এছাড়া ফসলী ক্ষেত তলিয়ে গেছে অনেক এলাকায়।
এদিকে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ¯্রােতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ফলে গত দু’সপ্তাহে নদী ভাঙনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর ইউনিয়নের আবাদি জমি, রাস্তাসহ শতাধিক বাড়িঘর এবং দু’শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি গ্রামের ঠাকুরডাঙ্গী গ্রামের রাস্তাটি নদীতে বিলীণ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছেন, সকল নদ নদীর পানি বাড়ছে। তবে এখনও প্রতিটি নদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল এই হারে অব্যাহত থাকলে বন্যারও আশংকা রয়েছে।