বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধায় কৃষকরা অতিলাভের আশায় তামাক চাষে ঝুঁকে পড়েছে। তামাক চাষ দিন-দিন বেড়েই চলছে।
এক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ গত ১০ বছরের তুলনায় এবার তামাক চাষ অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর, ইদিলপুর, ধাপেরহাট ইউনিয়ন এবং পলাশবাড়ী উপজেলা কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত, তালুককানুপুর ইউনিয়নে তামাক চাষ দিন-দিন বেড়েই চলছে। বিএটি বাংলাদেশ কোম্পানির পলাশবাড়ী লীফ ডিপো থাকায় থাকায় কৃষকরা সহজেই তামাক কোম্পানীতে বিক্রি করে পারে। তাতে অন্য ফসলের তুলনায় তামাক চাষ লাভজনক বলে মনে করছেন কৃষকরা।
পলাশবাড়ীতে তামাক ক্রয় ডিপো থাকার কারণে কৃষকরা সহজেই বীজসহ অন্যান্য সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ কারণেই অত্রালাকায় তামাক চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষক সূত্রে জানা যায়, এক বিঘা জমিতে ৫০ কেজি করে ৫ থেকে ৮ বেল তামাক হয় এবং ১ কেজি তামাক বিক্রি হয় ২০০-২২০ টাকা। তাতে ১ বিঘা জমিতে কৃষকরা তিনমাসের ব্যবধানে ৬০-৮০ হাজার টাকা তামাক বিক্রি করে থাকেন। অন্য ফসল হতে কৃষক ১ বিঘা জমিতে এতো টাকা পাবে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ খোরশেদ আলমের সাথে তামাক চাষ বিষয়ে কথা বলতে তিনি জানান, এ জেলায় মোট ২৬ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। অন্য জেলার তুলনায় এ জেলায় তামাক চাষ কম। তবে কৃষকদের তামাক চাষ না করার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে আসছি।