বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ দেশের উত্তরের নদীবেষ্টিত জেলা গাইবান্ধা। এখানে যমুনা নদীর বুকে জেগে উঠেছে শতাধিক চর। প্রতি বছরের মতো এসব চরাঞ্চলে আবাদ হয়েছে হাইব্রিড জাতের মরিচ। সেখানে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।
সম্প্রতি গাইবান্ধার ফুলছড়ি ফজলুলপুর চরাঞ্চলে দেখা গেছে – ক্ষেত থেকে উঠানো মরিচ প্রক্রিয়াজাতকরণের দৃশ্য। এ কারণে এখানকার কৃষক ও নারী শ্রমিকেরা চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সাত উপজেলা গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে মাইলের পর মাইল চাষ হয় এ মরিচ। বিশেষ করে ফুলছড়ি উপজেলা মরিচের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। এ অঞ্চলের পলি ও বেলে-দোআঁশ মাটি মরিচ চাষের জন্য উপযোগী। চলতি রবি মওসুমে চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মরিচের সবুজের সমারোহের এ দৃশ্য বিমোহিত করছে সবাইকে। এ বছর ফলন ভালো হওয়া এবং বেশ দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় দুই হাজার ৯৬৭ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮১৩ মেট্রিক টন।
ইতোমধ্যে মাঠগুলোতে দেখা গেছে- মরিচের দৃষ্টিনন্দন এ দৃশ্য। মরিচ ক্ষেতে কৃষকের পরিশ্রম আর সঠিক পরিচর্যায় গাছও হয়ে উঠেছে সুস্থ-সবল। এখন গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে টকটকে লাল মরিচের বাহার। অনেক গাছ মরিচের ভারে নুয়ে পড়ছে।। এ ধরনের দৃশ্য দেখে মরিচ চাষিদের মন ভরে উঠেছে। অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় মরিচ ক্ষেতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। দিনের অর্ধেক সময়ে মরিচ তুলে বিকেলে বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নেয় কৃষকরা। সপ্তাহে প্রায় দু’দিন বসে মরিচের হাট। অনেকেই আবার মরিচ তুলে নিয়ে বাড়িতে অথবা ফসলের মাঠ থেকে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে থাকেন।
সদর উপজেলার মোল্লার চরের মরিচ চাষি আব্দুল খালেক বলেন, রবি মৌসুমে ১০ কাঠা জমিতে দেশি মরিচের চাষ করেছি। এতে আমার ব্যয় হয়েছে আট থেকে ১০ হাজার টাকা। তবে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। আরও ২০ হাজার টাকায় বিক্রির বিষয়ে আমি আশাবাদী।
গাইবান্ধা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, মাঠপর্যায়ে মরিচ চাষের বিষয়ে পরামর্শ ও সহায়তা করতে কৃষকদের কাছে কৃষি কর্মকর্তারা আসেন। তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েই যাচ্ছেন।