বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি বাঁধে গর্ত: ঝুঁকি নিয়ে চলে যানবাহন

সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি বাঁধে গর্ত: ঝুঁকি নিয়ে চলে যানবাহন

স্টাফ রিপোর্টারঃ গত কয়েকদিনের বর্ষণে সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি ভায়া বেলকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে একাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে যানবাহন, পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। অথচ প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি ভায়া বেলকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধুমাইটারী ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় বিরাট গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলা শহরের সাথে পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই বাঁধটি। এ পথে প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় হাজার ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে। উপজেলার কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, হরিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম ও বেলকা ইউনিয়নবাসীর চলাচলের একমাত্র মাধ্যম বাঁধটি। হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে ইতোমধ্যে বাঁধটিতে মাটি ভরাটের আংশিক কাজ করা হয়েছে। দীর্ঘ এক বছর ধরে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ থাকায় ৩০ কিলোমিটার বাঁধটির মধ্যে ২০ হতে ৩০টি স্থানে বিরাট গর্তের সৃস্টি হয়েছে। যার কারণে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে বেলকা বাজার হতে ধুমাইটারী পর্যন্ত ৫টি বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পথচারী আল-আমিন মিয়া জানান, মাটি কাঁটার পর থেকে বাঁধটির উপর দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে যাওয়ায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। ধুমাইটারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আফছানা খাতুন বলেন, বাঁধটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
বেলকা বাজারের অটোবাইক চালক আশরাফুল ইসলাম জানান, রাতের বেলায় গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে অনেক ভয় হয়। যে কোন মুহুর্তে সড়ক দুর্ঘটনার সম্ভবনা রয়েছে। তাছাড়া প্রশাসনের পক্ষ হতে কোন প্রকার সর্তকবার্তার সাইনবোর্ড ঝুঁলানো হয়নি।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তার ইউনিয়নের বিবিসির মোড় হতে পাঁচপীর বাজার পর্যন্ত ছোট বড় প্রায় ১০টি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে ।
বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্ল্যাহ জানান, তার ইউনিয়নের ধুমাইটারী নামকস্থানে যে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেটি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে মেরামত করা সম্ভব নয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। তিনি অতিদ্রুত গর্ত ভরাটের ব্যবস্থা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, যদিও বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তারপরও এলজিইডির দেখভালের দায়িত্ব রয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান জানান, বিষয়টি তার জানা নাই।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com