বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী দূরপাল্লার দিবা-রাত্রি কোচ সার্ভিস গত শনিবার সকাল থেকে আকস্মিকভাবে বন্ধ রয়েছে। অতিরিক্ত চাঁদা আদায় ও শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে বাস মালিকদের দ্বন্দ্বের জেরে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই বাস মালিকদের এমন সিদ্ধান্তে টানা তিন দিন ধরে এ অবস্থা চলায় গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে গাইবান্ধাগামী যাত্রীদের ভোগান্তি চরম উঠেছে। বিশেষ করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হজ যাত্রীরা। তবে গাইবান্ধা-ঢাকা রুটে দুরপাল্লার লোকাল কিছু বাস চলাচল করছে।
এসআর পরিবহণের গাইবান্ধা বাস টার্মিনালের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনদিন ধরে মালিকদের এমন সিদ্ধান্তে কাজ না থাকায় বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে বাসের চালক ও হেলপারসহ শ্রমিকরা প্রতিদিনের হাজিরার টাকা না পাওয়ায় অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত। এ পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার দাবি তাদের।
গত ৬ জুলাই সকাল থেকে হঠাৎ করে গাইবান্ধা-ঢাকা রুটে ঢাকাগামী দুরপাল্লার দিবা ও রাত্রিকালীন কোচ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন বাস মালিকরা। এ কারণে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও ডিবি রোডের দুরপাল্লার এসআর ট্রাভেলস, আলহামরা পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহন, একতা পরিবহন ও অরিন ট্রাভেলসের টিকেট কাউন্টারগুলোও বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। দুরপাল্লার বাসগুলো সারিবদ্ধভাবেই ফেলা রাখা হয়েছে। ঢাকা থেকেও কোন বাস গাইবান্ধায় আসেনি। সব কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বাসের চালক, শ্রমিকরা অনেকটা অলস সময় পার করছেন।
এদিকে, ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যাত্রীরা টার্মিনাল ও শহরের ডিবি রোডের কাউন্টারগুলো বন্ধ পাচ্ছেন। ফলে বাধ্য হয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কেউ বাড়ি ফিরছেন আবার কেউ বিকল্প পথে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে সবমিলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
বাস মালিক ও শ্রমিকদের অভিযোগ, ঢাকাগামী প্রতিটি চেয়ারকোচ বাস থেকে ৩৬০ টাকা করে মালিক সমিতির নামে শ্রমিক ইউনিয়ন আদায় করে আসছিলেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে ৩৬০ টাকার পরিবর্তে ৪৪০ টাকা করে আদায় করছেন তারা। অতিরিক্ত চাঁদা আদায়সহ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা নানা কারণে পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ রুটে ঢাকাগামী বাসের স্টাফদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাস মালিকরা। দ্রুত সমস্যা সমাধান না হলে পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন বাস মালিকরা।